Tours Sights



পৃথিবীর শীতলতম স্থান

স্টানলি, ইদাহো, যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় শহর ইদাহো ২০৯ কিলোমিটার দূরে অবস্হিত। স্টানলে তার নিকটবর্তী একটি জায়গা  স্টানলির চারদিককে সাদা আকাশ, বিশাল স্বচ্ছ পাহাড় এবং টুথ জঙ্গল জুড়ে আছেএখানে রয়েছে ,০৪৮ মিটার উঁচু উচু পাহাড়। এর  তাপমাত্রা নিরুপণ করা হয়েছে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা -৫২. ডিগ্রি ফারেনহাইট শহরটি শীতলতম তাপমাত্রার পাশাপাশি আরও একটি রেকর্ড সৃষ্টি করেছে, তা হল ১৯৯৫ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দিন শীত ছিল এখানে ।
 


প্রোসপেক্ট ক্রিক, আলাস্কা
প্রোসপেক্ট ক্রিক আলাস্কার ফেয়ারব্যাঙ্কের উত্তরে ২৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যুক্তরাষ্ট্র  সাধারনত এখানে তাদের মাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে থাকে। ১৯৭৭ সালে এখানে একটি ভূগর্ভস্থ পাইপ লাইন নেয়া হয়েছে  তেল সরবরাহ করার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে প্রোসপেক্ট ক্রিকে ৮০ ডিগ্রি ফারেহাইট/-৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসে তেলের পাইপ লাইন এত শীতল জায়গার ভেতর দিয়ে  নিয়ে গেলেও পাইপের তেল জমে না। কারণ ১০ সেন্টিমিটার পুরু তাপ নিরোধক ফাইবার গ্লাসের তৈরি পাইপ ভেদ করে তেল ঠাণ্ডা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
 


স্নাগ, কানাডা
নাম স্নাগ,উত্তর আমেরিকার ইউকোন দ্বীপের একটি জায়গার।বাটির মতো দেখতে  হোয়াইট রিভারের মধ্যে জেগে ওঠা একটি গ্রাম স্নাগ। স্নাগ স্ক্যান্ডেনেভিয়ান ভাষা, যার অর্থ ঝর্ণা। ১৮৯৮ সালে এর নাম দেওয়া হয়েছে স্নাগ ইউকোন দ্বীপের ঝর্ণার নামানুসারে
সেখানে বসবাসকারী আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোক এবং পশম ব্যবসায়ীদের  ১৯৪৭ সালে যখন সবচেয়ে শীতলতম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সেই থেকে তাদের কদর বাড়তে শুরু করে।জরুরি বিমানে সেখানে লোক আসা যাওয়া করে। আবহাওয়ার খবরা খবর কমিউনিটি রেডিও স্টেশন থেকে সম্প্রচার করা হয়।



ইয়াকুতস, সাইবেরিয়া
রাশিয়ান রিপাবলিক অব ইয়াকুতিয়ার রাজধানী হল ইয়াকুতস এটি  একটি শীতলতম শহর। সাইবেরিয়ার লিনা নদীর পশ্চিম পাড়ে এর অবস্থান। বরফজমা নদীর উপর দিয়ে মানুষ রাস্তা তৈরি করে চলাচল করে, পণ্য পারিবহন করে। এটিকে তারা শীতকালীন রোড হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। শীতকালে এখানে ভয়াবহ শীত থাকে। এটি ১৮২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আজ ইয়াকুতস শহর  একটি প্রধান প্রশাসনিক, সংস্কৃতির চর্চা কেন্দ,  শিল্প, সাহিত্য গবেষণার নগরীতে পারিণত হয়েছে। ইয়াকুতিয়া হল প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ একটি এলাকা।
 

ওমিয়াকন, সাইবেরিয়া
পৃথিবীর শীতলতম স্থায়ী এক আবাসস্থল সাইবেরিয়ার ওমিয়াকন ৩৫০ কিলোমিটার ভিতরে গিয়ে আর্কটিক এলাকার  অনেক গুলো গ্রাম সেখানে প্রায় লাখ ১০ হাজার মানুষ বসবাস করছে  


ওমিয়াকনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অফিস বন্ধ রাখা হয় তাপমাত্র যখন -৬১ ডিগ্রি ফারেনহাইট/-৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে । অধিবাসীরা কেবল বিবিসি সংবাদ শুনে  ঘরের বাইরে বের হয়। যদি গাড়িতে চড়ে কোথাও যাওয়া সম্ভব হলে তবেই তারা বের হয়
 

ভোস্তক, অ্যান্টার্কটিকা
ভোস্তক পৃথিবীর সবচেয়ে শীতলতম স্থান। এখানকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২১ জুলাই ১৯৮৩ সালে সর্বনিম্ন -১২৮.৫৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট/-৮৯. ডিগ্রি সেলসিয়াস। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই জায়গার উচ্চতা ,৫০০ মিটার। পৃথিবীর ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড পূর্ব অ্যান্টার্কটিক বরফের দেশে দক্ষিণ জিওম্যাগনেটিক প্রান্তের কাছাকাছি জায়গায় অবস্থিত। সেখানে দৈর্ঘ্য ২৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৫০ কিলোমিটারের একটি লেক আছে, প্রায় কিলোমিটার শক্ত বরফের নিচে এই লেকটি চাপা পড়ে আছে। এটি রাশিয়ার একটি গবেষণা কেন্দ্র যেখানে পৃথিবীর অন্যান্য স্থান থেকেও বিজ্ঞানীরা এখানে এসে গবেষণায় অংশ নিয়ে থাকেন। 


আমেরিকার, রাশিয়া, ও ফ্রান্সের  যৌথ উদ্যোগে এখানে একটি প্রাথমিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ,৭০০ মিটার পুরু বরফের স্তর ড্রিল মেশিনের সাহায্যে এখানে ছিদ্র করা হয়েছে বিজ্ঞানীদের ধারণা খননকৃত এই বরফের নমুনা থেকে বিগত লাখ বছরের জলবায়ুর তথ্য জানা যাবে ভোস্তকে হিমশীতল তাপমাত্রা থাকার পরও  তুষারপাত ঘটে কম। এখানে বছরে ২৫ সেমি-এর কম বৃষ্টিপাত হয়অ্যান্টার্কটিকা কৌশলগত কারণে মরুভূমি।

No comments:

Post a Comment